অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ডবাহিনী বা আইআরজির মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামেজন শরীফ বলেছেন, বিশ্বের কোনো শক্তি ইসলামি প্রজাতন্ত্র বিরুদ্ধে সামান্যতম সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার সাহস দেখাবে না।’ ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৪তম বিজয়বার্ষিকী উপলক্ষে কেরমান প্রদেশে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
বিদেশি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করার ক্ষেত্রে ইরানের তরুণ প্রজন্ম যে ভূমিকা রেখেছে তার প্রশংসা করেন আইআরজিসির এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, আল্লাহর রহমতে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ীর বিচক্ষণ পদক্ষে প এবং তরুণ প্রজন্মের সার্বক্ষণিক সজাগ দৃষ্টির কারণে প্রতিরক্ষা ও সামরিক শক্তির ক্ষেত্রে আমরা এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি যার কারণে আমেরিকা কিংবা অন্য কোনো শক্তি ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে সামান্যতম কোনো পদক্ষেপ নেয়ার সাহস পাবে না।
আইআরজিসির মুখপাত্র বলেন, নিরাপত্তা রক্ষা প্রতিটি দেশেরই জরুরি বিষয়। ইরান এ নিয়ে এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কারণে তার সীমান্তের কাছে অন্য কারোর নিরাপত্তা বলয় প্রতিষ্ঠার কোনো প্রয়োজন নেই।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রামেজন শরীফ বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীরা কুর্দিস্তান এবং সিস্তান ও বালুচিস্তান প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের ষড়যন্ত্র করেছিল। কিন্তু ইরানের জনগণের সচেতনতা ও বুদ্ধিমত্তা তা বানচাল করে দিতে সক্ষম হয়েছে।
ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের বাইরে ইরানের বিচ্ছিন্নতাকামী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এমকেও যে মিছিল করেছে তার নিন্দা জানিয়ে আইআরজিসির এ কর্মকর্তা বলেন, এই গোষ্ঠীর রিংলিডার মরিয়ম রাজাভি মনে করেছেন যে, তাদের অপরাধযজ্ঞের কথা ইরানের জনগণ ভুলে গেছেন। তাদের মনে রাখতে হবে, তারা অন্তত ১৭ হাজার ইরানি নাগরিককে শহীদ করেছে এবং ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় সাদ্দামের সেনাদেরকে স্বাগত জানিয়েছিল। ইরানের জনগণ এর কোনো কিছুই ভুলে যাননি।
Leave a Reply